1ল্যাসিক কি সবার জন্য প্রযোজ্য?
এই প্রশ্নের উত্তর কবেলমাত্র একজন চক্ষু বিশেষেজ্ঞই দিতে পারনে যে, একজন ব্যক্তি ল্যাসকিরে জন্য উপযুক্ত কি না। সাধারনত ল্যাসকি করাতে হলে প্রার্থীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছররে ওপরে হতে হবে, তার কর্নিয়া হতে হবে সুস্থ, যাতে কোন রকম অসুখ নেই, বিগত ছয় মাসে তার চশমার পাওয়ারের তমেন কোন পরর্বিতন হয়নি।সর্বোপরি একজন ব্যাক্তি ল্যাসিক করাতে হলে তাকে অবশ্যই আগে প্রি-ল্যাসিক টেস্ট করাতে হবে এবং সেই টেস্ট রিপোর্টের ভিত্তিতে একজন সার্জন ল্যাসিকের সিধান্ত নিয়ে থাকেন।
2ল্যাসিক করানোর ক’দিন পর কাজে যেতে পারবো?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপারেশনের পর এক বা দুই দিনের মধ্যে দৃষ্টি পরিষ্কার হয়ে যায় এবং সপ্তাহখানেকের মধ্যে নতুন দৃষ্টি চোখের সাথে সেট হয়ে যায়, তবে কারো কারো ক্ষেত্রে পুরো দৃষ্টি সেট হতে ১ মাসের মত সময়ও লাগতে পারে। সাধারণত অপারেশনের ১ থেকে তিন দিনের মধ্যে স্বাভাবিক কাজ-কর্মে ফিরে যাওয়া যায়।
3ফেমটো- ল্যাসিক করানোর সময় কি ব্যথা লাগে?
না, ফেমট ল্যাসিক একটি ব্যাথাবিহীন পদ্ধতি - অত্যন্ত রোগী বান্ধব ও আরামদায়ক
- সাকশনের সময় দৃষ্টি ঝাপসা লাগে কিন্ত দৃষ্টি হারায় না
- শুধুমাত্র লেজার প্রক্রিয়া চলাকালীনই সাকশন প্রয়োগ করা হয়
- সাকশনের সময় স্বল্পচাপ অনুভূত হয়

যাই হোক, ফেমটো-ল্যাসিকের পর পর চোখে সামান্য খচ খচ ভাব অনুভূত হতে পারে আর সেটা বাসায় ফিরে কয়েক ঘন্টা ঘুমালে ঠিক হয়ে যায়। পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রোগী আসল দৃষ্টি উপভোগ করতে পারেন।

4ল্যাসিক করানোর সময় কি ব্যথা লাগে?
অপারেশনের শুরুতে মাইক্রোকেরাটোম নামে একটা ছোট মেশিন চোখে বসানোর সময় চোখে একটু চাপ লাগা ছাড়া কোনো ব্যথা অনুভুত হয় না। কখন যে কয়কে মনিটিরে মধ্যে অপারশেন শষে হয়ে যায় রোগী তা প্রায় বুঝতইে পারে না।
5ল্যাসকি করাতে কত সময় লাগে?
VisuMaxএর ৫০০ হার্টজ পালস রেট পুরো চিকিৎসা প্রক্রিয়াটা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার ফলে ফেমটো ফ্ল্যাপ তৈরি করতে ২০ সেকেন্ড সময় লাগে। অপরদিকে মাইক্রোকেরাটোম মেশিনের সাহায্যে ফ্ল্যাপ তৈরি করতে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড সময় লাগে। এরপর ৫০০ হার্টজ পালস রেটের MEL-90এক্সাইমার লেজার মেশিনের সাহয্যে চশমার পাওয়ার কারেকশন করতে ১৫ থে ৩০ সেকেন্ড সময় প্রয়োজন হয়। প্রতি চোখে পুরো অপারেশন শেষ করতে আনুমানিক তিন থেকে পাঁচ মিনিট সময় লাগে।
6অপারেশনের পর হাসপাতালে ফলো-আপ
ফলো-আপ করা হয় ল্যাসিকের পর প্রথম দিন আর এরপর সাধারণত ১ মাস পর্যন্ত। তবে প্রয়োজন হলে যে কোন সময় ফলো-আপ করা হয় ।
কত সময় হাসপাতালে থাকতে হয়?
ল্যাসিক সার্জারিতে হাসপাতালে থাকার প্রয়োজনই হয় না। ল্যাসিকের আধ ঘণ্টা পর আপনি বাসায় ফিরে যেতে পারেন।

• সাফল্যরে হারঃ
ল্যাসকি সাইট সেন্টারে দেশের সিনিয়র এবং অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ সার্জনগণ বিশ্বের র্সবাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপারেশন করা থাকেন। আর এ কারণে আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে চাই আমাদরে সেন্টারের ফলাফল শতকরা ৯৯ ভাগ সফল এবং আমাদের প্রায় সকল রোগীই তাদের অপারেশনের ফলাফলে অত্যন্ত খুশী। আমাদের বেশীরভাগ রোগীই আসেন আমাদের সেন্টার হতে র্পূবে ল্যাসকি করানো রোগীর মুখ থেকে শুনে যাতে করে তারা আমাদের প্রতি পায় আস্থা।

• সাইড এফক্টে
র্বতমান প্রজন্মরে অত্যাধুনকি মেশিনে কোন সাইড এফেক্ট বা র্পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললইে চলে, হয়তো ১০০০ চোখের মধ্যে ১ চোখে সামান্য পাওয়ার কারকেশন কম-বেশী হতে পারে, তবে তাও আবার ট্রটিমন্টে করা যায়।

7ল্যাসিক করানোর পর যদি ভবিষ্যতে পাওয়ার বদলায় তাহলে কি হবে?
সাধারণত ল্যাসিক আঠারো বছর বয়সের নিচে করা হয় না। কারণ এই বয়সের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের পাওয়ার যা বাড়ার তা বেড়ে যায়; তাছাড়া ল্যাসকিরে র্পূবে আপনার চোখ ল্যাসিকের জন্য উপযুক্ত কিনা তা জানার জন্য প্রি-ল্যাসিক টেস্ট করা হয় এবং ডাক্তার আপনার চোখের পুনরায় দৃষ্টি পরীক্ষা করে সে মোতাবকে কতটুকু পাওয়ার কারকেশন করা যাবে তা নির্ধারণ করেন। আর এরপরেও যদি ল্যাসিকের পর কারো পাওয়ার বাড়ে সেটাও পুনরায় ল্যাসিক করা যায়, যদি কর্নিয়ার থিকনেস ভালো থাকে, তবে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা খুবই নগন্য, হয়তো ১০০০ জনে ১ জন।
8ল্যাসিক কি নিরাপদ বা এতে কি কোন ঝুঁকি আছ?
ল্যাসিক একটি অত্যন্ত নইরাপদ ও পরীক্ষিত লেজার চিকিৎসা পদ্ধতি।আমরিকায় দীর্ঘ দিনের গবেষণায় দেখা গিয়েছেঃ
- ল্যাসিকের পর চশমা ছাড়া স্বাভাবিক দৃষ্টির মান আগের চাইতে অনেক উন্নত
- আজ পর্যন্ত দৃষ্টি হানির কোনরকম ঘটনা ঘটনে।

বিশ্বব্যাপী ল্যাসিকের ওপর গবেষণায় দখোদেখা গিয়েছে শতকরা ১% ভাগ মাত্র মানুষের কিছু সাধারণ সমস্যা ছাড়া তেমন কোন সমস্যা তাদের হয়নি। এছাড়া ল্যাসিকে যদি কোন সমস্যা হয়ও তা পুনরায় চিকিৎসাযোগ্য। মনে রাখবেন ল্যাসিক করিয়ে কেউ অন্ধ হয় না। আর যদি ল্যাসিকের ঝুঁকির কথা বলা হয় তবে বলা যায় এটা নির্ভর করে একজনরে দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। শতকরা ৯৫% মানুষ ল্যাসিক করিয়ে অত্যন্ত খুশী তাদের নতুন দৃষ্টি নিয়ে। কদাচিৎ স্বল্পসংখক রোগী পাওয়া যায় যাদের দৃষ্টি পুরোপুরি পরিস্কার হতে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশী সময় নেয়। ইনফেকশনের সম্ভাবনা যাতে না থাকে সে জন্য অপারেশনের আগে আমরা রোগীকে এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে বলি। স্বল্পসংখক রোগীর চোখের পাওয়ার কারেকশন সামান্য কম-বেশী হতে পারে তবে তাও পুনরায় চিকিৎসা করা যায় (যদি আদৌ দরকার হয়) যদি চোখের কর্নিয়ার থিকনেস ভাল থাকে। আর পুনরায় ল্যাসিক করাতে হলেও সেটা প্রথমবার ল্যাসিক অপারেশনের কমপক্ষে ২-৩মাস পর করা হয় এবং তার জন্য এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ ফ্রি। যদিও এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে বলা যায় না ল্যাসিকের জটিলতা কতধরনের তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে কিছু সাধারণ সমস্যা যেমন - শুস্ক চোখ, রাতে বেশী আলোতে বাতির চারদিকে ছড়ানো আলো এসব সমস্যা ল্যাসিক এবং পি আর কে সব মিলিয়ে শতকরা ৩% থেকে ৫%। এক কথায় বলা যায় ল্যাসিক করিয়ে রোগী সবসময়ই খুশী। সবশেষে মনে রাখবনে, ল্যাসিক করিয়ে কেউ অন্ধ হয় না।